বঙ্গোপসাগরে ম্যারাথন গতিতে চলছে গনডাকাতি। কুয়াকাট সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের দক্ষিন সুন্দরবন, ফেরার বয়া সহ বিভিন্ন পয়েন্টে জেলেদের মাছ ধরার ট্রলারে ফের গন ডাকাতি হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসা জেলেরা জানান, কুয়াকাটা হতে প্রায় ৩০ কিঃ মিটার দক্ষিনে সোমবার রাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ডাকাতি চলে আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৭টা পর্যন্ত জলদস্যুদের তান্ডব চলে। গুলি ছুড়ে আতঙ্ক তৈরি করে জলদস্যুরা আপহরন করে নিয়ে যায় প্রায় ৫০ জেলেকে। এসময় ডাকাতদের মারধর আতংকে পানিতে ঝাপ দিয়ে ৩ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজেরা হলেন- আল-আমিন, বজলু ও নাইম। নির্যাতনে আহত হয়েছেন আলমগীর ও সামসু। জেলেরা জানান, খুলনা বিভাগের ডুমুরিয়া এলাকার এনামুল, গডফাদার বাচ্ছু বেগ ওরফে গালা বাচ্ছু বাহিনী এ গনডাকাতির নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের দাবী সমন্বিত উদ্যোগ নিলে জলদস্যুদের চিরতওে নির্মুল সম্ভব।
আপহরন করে নিয়ে যাওয়াদের মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালীর মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুরের-আমির মাঝি, নুরুল হক মাঝি, কামাল হোসেন মাঝি, নিজাম মাঝি, নয়া মাঝি, আল-আমিন এবং বরগুনার নিদ্রাসখিনার- রিয়াজ মাঝি, আমির হোসেন মাঝি, রুহুল মাঝি’র নাম জানা গেলেও বাকিদের নাম এখনো জানা যায়নি।
কুয়াকাট-আলীপুর ট্রলার মালিক ও আড়ৎদার সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, গতকাল রাত আটটায় ট্রলার এফবি কর্নফুলী, এফবি সিরাজ, এফবি রাসেল, এফবি সাগর, এফবি এলমা আক্তার, এফবি আশা, এফবি মালিহা, এফবি মহেশখালী সহ প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি ট্রলার এক জায়গায় অবস্থান করে মাছ শিকারের সময় জলদস্যুরা তাদের চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে। গুলি করে শুরু করে ডাকাতি। ডাকাতি শেষে প্রায় ৫০ জেলে মাঝিকে আপহরন করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। জলদস্যুদের প্রহারে অনেক জেলে আহত হয়েছেন।
এতে এফবি এলমা ও এফবি রাসেল নামের ২টি ট্রলার সহ প্রায় অর্ধশত জেলে অপহৃত হয়েছে। অপহৃত জেলেরা মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুর ও পাথরঘাটা সহ কক্সবাজার এলাকার বাসিন্দা। ডাকাতের নির্যাতনে অপহৃত এফবি এলামা ট্রলারের ৩ জেলে গভীর সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে।
কুয়াকাটা-আলীপুর ট্রলার ও মৎস্য আড়ৎদার সমবায় সমিতির সভাপতি আনছারউদ্দিন মোল্লা বলেন, চলতি মাসের ১২ অক্টোবর মুক্তিপনের দাবীতে শতাধীক জেলে অপহৃত থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দফায় আবার ডাকাতি শুরু হয়েছে। এ তথ্য পাওয়ার পর প্রশাসনকে জানালে তারা সুন্দরবনের আরপাঙ্গাশিয়া নদী, রায়মঙ্গল, নীলকমল, কালিরচর, বালিরখাল ও গেউখালি নদীর মোহনায় টহল জোরদার করলে এসকল জলদস্যুদের ধরা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
Download http://bigtheme.net/joomla Free Templates Joomla! 3
Home / জেলার খবর / বঙ্গোপসাগরে ম্যারাথন গতিতে চলছে গনডাকাতি ॥ বেপরোয়া জলদস্যু দমনে নেই সমন্বিত উদ্যোগ আবারও ২টি ট্রলার সহ ৫০ জেলে অপহরণ ॥ আতংকে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোজ ৩ জেলে
Check Also
সাইবার আক্রমণ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ এক নম্বরে
সাইবার আক্রমণে বিশ্বে প্রতি বছর ৫ হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার হচ্ছে। হ্যাকারদের এই অর্থ চুরিই …