হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে সরকার, যার মাধ্যমে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব এসএসএফকে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হল।
সোমবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে কিছু সময়ের জন্য ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছিল ওই সময়ের সেনা সর্মথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) আইন, ২০২১-এর ধারা ২ (ক) অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করল।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। চিকিৎসক ও দলের নেতারা তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানাচ্ছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য চীন থেকে পাঁচ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল ঢাকায় এসেছে, তাদের সোমবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ঢুকতে দেখা গেছে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে মঙ্গলবার আরও কয়েকজন চিকিৎসকের আসার কথা রয়েছে।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকেও একদল জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক বসুন্ধরার ওই বেসরকারি হাসপাতালে এসেছেন, যেখানে সাবেক সেনাপ্রধান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসেছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
রাত ৯টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকে বসেছেন তারা; যাতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান সভাপতিত্বে করছেন।
সভায় বৈঠকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সবশেষ অবস্থার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা।
News আরও একটি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট