বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লিপি খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী।
সোমবার (০৬ জুন) বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত লিপি খাতুন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরকাদহ গ্রামের বাবু মিয়ার স্ত্রী ও হরিনাথপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে।
লিপির বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রায় দুই বছর আগে ২৫ হাজার টাকা যৌতুকের বিনিময়ে বাবু মিয়ার সঙ্গে লিপির বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে আরো ২০ হাজার টাকা যৌতুক চেয়ে স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন বাবু মিয়া। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই কলহ হতো।
সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন রোববার (০৫ জুন) সকালে ঝগড়ার একপর্যায়ে লিপিকে মারধর করে মুখের ভিতর বিষ ঢেলে দেন বাবু মিয়া। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লিপিকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকেল ৩টার দিকে লিপির মৃত্যু হয়। এ খবর শুনে পালিয়ে যায় বাবু মিয়া।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় লিপিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠাতে বলা হয়।
কিন্তূ তার স্বজনরা শজিমেকে নিতে অপারকতা প্রকাশ করায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখানেই লিপির মৃত্যু হয়। লিপির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও কীটনাশক সেবনের আলামত রয়েছে বলে তিনি জানান।
ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তালাশনিউজ২৪.কম/বাতেন