আমাদের দেশে যে পরিমান গ্যাস সম্পদ মজুদ আছে তা আগামী ১৫ বছরের চাহিদা মেটানো যাবে। এ অবস্থায় জ্বালানির দক্ষতা বাড়াতে না পারলে সামনে কঠিন সমস্যায় পরতে আমাদের দেশকে।
শিল্পে জ্বালানি সক্ষমতার উন্নয়ন শিরোনামে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন বলেছেন। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল সোমবার সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ । অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, শিল্পে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় তাঁদের বিনিয়োগ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে দেওয়া গ্যাসের দাম শতভাগ বাড়ানোর কারণে এর ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিকই-ইলাহী চৌধুরী বলেন,১৫ বছর পর দেশের গ্যাস একেবারেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। সামনে কঠিন দিন আসছে আমাদের। আর ৪ বছর পর থেকেই বিভিন্ন কূপে গ্যাস কমতে শুরু করবে। সে জন্য এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, জ্বালানি দক্ষতা বাড়াতে হবে।
উপদেষ্টা তৌফিকই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, যাঁরা ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্র পেয়েছেন কিংবা পাবেন, তাঁদের আগামী ৬ মাসের মধ্যে সক্ষমতার ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। অতি তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে নির্দেশনা আসবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা ৬ মাসের বদলে মেয়াদ ১ বছর করার দাবি জানান। উপদেষ্টা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান এ আর খান জানান, দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দক্ষতা অনেক কম। তারা বলে ৬৪ শতাংশ। কিন্তু দাম বাড়ানোর আবেদন করার সময় বলে ৪৬ শতাংশ। তাই বলে তো এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ কর সম্ভাব যাবে না। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা শুধুই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করতে চাই না, কমাতেও চাই। এ কারনে জ্বালানির দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন।